রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩২ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০০২ সালে বাকেরগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের কমিটি গঠন হয় তৎকালীন সময়ে লোকমান ডাকুয়াকে সভাপতি ও মোকলেস রহমান কে সাধারন সম্পাদক করা হয়। দেড় যুগ বয়সী সেই কমিটি দিয়ে আজও মেয়াদউর্ত্তীণ কমিটি দ্বারাই চলছে বাকেরগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের কার্যক্রম। আরও আশ্চর্যের বিষয় হলো বাকেরগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লোকমান ডাকুয়া ২০১২ সালে বাকেরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি বাকেরগঞ্জ পৌরসভার পৌরমেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। লোকমান ডাকুয়া একাই দুইটি বৃহৎ পদ দখলকরে সংঠনের দ্বায়িত্ব নামমাত্র পালন করছেন। জাতীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানও পালন করছে না উপজেলা যুবলীগ।
যা নিয়ে দলের নেতা কর্মীদের মধ্যে দীর্ঘদিনের ক্ষোভ বিরাজ করছে। গত তিন বছর আগে বাকেরগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ কমিটি গঠনের জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের নিকট থেকে জীবনবৃত্তান্ত লিখিত আকারে জমা নেয়া হয়। পরবর্তীতে সেই জীবনবৃত্তান্ত নেয়ার বিষয়টি আজও আলোর মুখ দেখেনি। সেকারনেও তৃণমূল পর্যায়ে লোকমান ডাকুয়াকেই দায়ী করেন কমিটির নেতৃবৃন্দ। এদিকে কেন্দ্রীয় আ’লীগের ঘোষনা অনুযায়ী এক নেতার এক পদ, সে নিয়মটিও মানছে না লোকমান ডাকুয়া।
একদিকে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি অন্যদিকে উপজেলা আ’লীগের সম্পাদক, তার মধ্যে মেয়রের দায়িত্বও পালন করে যাচ্ছেন। একজন লোকমান ডাকুয়ার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব কোনটাই ঠিকমত পালন করছে না। এনিয়ে দলীয় ও সাধারণ মানুষের মাঝে গুঞ্জন চলছে বছরের পর বছর ধরে। অপরদিকে আ’লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করে বিভিন্ন প্রত্যয়ন, তদ্বীর, চাকুরী পাইয়ে দেয়া, কাজ পাইয়ে দেয়া, নতুন কমিটিতে পদ-পদবী দেয়াসহ বিভিন্ন কাজে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে নেতাকর্মীদের মুখে।
এখন বাকেরগঞ্জ যুবলীগে চলছে চরম হতাশা। বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে একই অবস্থা বিরাজ করছে। সাংগঠনিক নিষ্ক্রিয়তা দেখা দিয়েছে বেশীরভাগ ইউনিয়ন কমিটিতে। স্থানীয় একাধিক যুবলীগ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান সামছুল আলম চুন্নু ও পৌর মেয়র লোকমান ডাকুয়ার জন্যই বাকেরগঞ্জে যুবলীগের কমিটি হচ্ছে না, সকল কার্যক্রম ভেস্তে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত লোকমান ডাকুয়া’র মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে উপজেলা চেয়ারম্যান সামছুল আলম চুন্নু’র ০১৭১১……..৭৩ নম্বরে বার বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি। যারফলে তার সাক্ষাতকার দেয়া সম্ভব হয়নি। এ ব্যপারে বরিশাল জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সাংসদ এ্যাডঃ তালুকদার মোঃ ইউনুস বলেন, যদি কেউ একের অধিক পদে থাকেন তাহলে সেটা আওয়ামীলীগের গঠনতন্ত্রের বাহিরে। কমিটির বিষয়ে বরিশাল জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাডঃ ফজলুল করিম শাহীন বলেন, আমরা একাধিকবার তাগিদ দিলেও বাকেরগঞ্জ আওয়ামীলীগের অসহযোগীতার কারনে কমিটি দেওয়া সম্ভব হয়নি।
তিনি আরো বলেন, বাকেরগঞ্জ আওয়ামীলীগের একক আধিপত্য বিস্তার করে বসে আছেন লোকমান ডাকুয়া। এতেকরে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে দল ও দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা। গঠনমূলক কমিটি গঠন করে বাকেরগঞ্জ যুবলীগ কে সু-সংগঠিত করার জন্য বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, সাংসদ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
Leave a Reply